hide & seek [season 2 || part-2 ] y/n : মা তুমি চলে যাও, আমি পড়ে আসছি.... কথাটুকু বলে y/n খুব দ্রুত দৌড়ে কোথাও চলে গেলো, mrs. park কিছু বুঝে উঠার আগেই y/n দৌড়ে পালায় যে কারনে তিনি তার মেয়েকে আটকাতে পারলেন না... তবুও সে হাল ছেড়ে দেননি... mrs park ও y/n কে খুজতে শুরু করলো.. mrs park খুব ভালো করেই জানে y/n সুযোগ পেলেই পুরোনো অগ্নিদগ্ধ সেই নর্তকী মহলের ভেতরে চলে যায়.... মহলটা এতো বছর যাবৎ সেভাবেই ধ্বংসস্তূপ হয়ে পরে আছে।। সেই ভাঙ্গা মহল আজও ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে আছে... আর জমিদার jeon তার ছেলে jungkook কে হারানোর পর সব নর্তকীদের মুক্ত করে দিয়ে নতুন নর্তকী মহলটাও পরিত্যক্ত ঘোষণা করেছিলেন.... ১৭৪ বছর যাবৎ মহলের সামনে প্রবেশদ্বারে বড় তালা ঝোলানো রয়েছে.... y/n অনেক বার প্রাচীর টপকে মহলের ভেতরে যাওয়ার চেষ্টা করেছে কিন্তু আশেপাশের লোকজন বার বার তাকে বাধা দিয়েছে... [১৮৫০ সালে মহলটার আশে পাশে বেশ নির্জন আর থমথমে পরিবেশ ছিলো, যে কারনে মহলটায় এতো বড় অগ্নিকাণ্ড ঘটে যাওয়ার পরেও কেউ টের পায়নি, এমনকি পরবর্তীতে যে নতুন নর্তকীমহল বানানো হয়েছিলো সেটাও তৈরি করা হয়েছিলো নির্জন জায়গায় যাতে ইংরেজ সাহেব আর জমিদাররা নর্তকীদের ভোগ করতে পারে কিন্তু এখন মহলের আশে পাশে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা তৈরি হয়েছে... মহলের তালাও আজ পর্যন্ত কেউ খোলে নি, কারন জমিদারের নিষেধাজ্ঞা ছিলো , jungkook এর বাবা জমিদার jeon নর্তকী প্রথা নিষিদ্ধ ঘোষনা করে স্বপরিবারে দেশের বাইরে চলে যায়, বর্তমানে জমিদার বাড়িতে Mr. lee নামের একজন লোক care taker হিসেবে থাকে তার পরিবার সহ ] অন্যদিকে Kim Taehyung তার archaeologist team নিয়ে রূপপুরে পৌছে গেছে.... তারা গ্ৰামে পৌছেই জমিদার বাড়ির care taker এর permission নিয়ে পুরোনো মহলের চারপাশটা ব্যানার লাগিয়ে আটকে ফেলে, আর বাইরে security guard দাড় করিয়ে দেয় যাতে বরিরাগত প্রবেশ না করতে পারে। আর এদিকে y/n তার মায়ের কাছ থেকে পালিয়ে নর্তকী মহলের সামনে চলে আসে, y/n আশে পাশে খেয়াল না করে মুখে একগাল হাসি দিয়ে মহলের গেইটের সামনে যেতেই security guard তার হাতের রাইফেলটা y/n এর সামনে ধরে y/n কে থামিয়ে দিয়ে বলে... security guard : এই মেয়ে, পোড়াশোনা কি একদমই জানো না... উপরে পোষ্টার টানিয়ে দেওয়া হয়েছে দেখোনি? ভালো করে দেখো কি লেখা আছে, " বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ " y/n : I am sorry, আসলে দেখতে পায়নি..!! আচ্ছা ভেতরে কি হচ্ছে ? S-guard: research হচ্ছে... y/n : ও আচ্ছা ! আরে আরে দেখুন আপনার পেছনে আরো কত মানুষ মহলে ঢোকার জন্য দৌড়ে আসছে ( চিৎকার দিয়ে) security guard টা y/n এর কথা শুনে পেছনে তাকালে Y/n দ্রুত দৌড়ে মহলের প্রবেশদ্বার দিয়ে ভেতরে ঢুকে পড়ে... এদিকে S-guard পেছনে তাকিয়ে বেকুব হয়ে গেলো, কারন তার পেছনে কেউ ছিলো না! s-guard : এটা কোন ধরনের অসভ্যতামি 🙂🙌 y/n মহলের ভেতর ঢুকে দেখে কিছু লোক মহলের চারপাশে মাটি খুড়ছে... তাদের পোশাক-আশাক , ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি দেখে y/n খুব সহজেই বুঝে গেলে তারা archaeologists... y/n মহলের ভাঙ্গা প্রাচীরগুলোর পেছনে লুকিয়ে তাদের পর্যবেক্ষণ করছে... jiya সবার থেকে একটু দূরে গিয়ে মহলের আশপাশটা ঘুরে ঘুরে দেখছিলো... jiya in mind : huhh.. আমি কি এতো বোকা নাকি যে ওদের সাথে কাজ করবো, আমি তো private ভাবে কাজ করবো, যাতে কোনো old substances পেলে তার created আমি নিতে পারি, আর Taehyung sir এর চোখে heroin হয়ে যেতে পারি... এসব ভাবতে ভাবতে jiya একটু সামনে যেতেই দেয়ালের পেছনে y/n এর শরীরের কিছু অংশ দেখে একদম থমকে যায়... y/n ও jiya কে খেয়াল করে দৌড়ে পালায়... y/n এর নুপুরের ঝমঝম আওয়াজ শুনে jiya আরো ভয় পেয়ে যায়... jiya দৌড়ে একদম Taehyung এর পেছনে লুকিয়ে পরে আর জোরে জোরে শ্বাস নিয়ে হাপাতে থাকে... Taehyung কিছুটা বিরক্ত হয়ে বলে উঠে.. Taehyung : what the hell jiya... কাজ করতে এসে এভাবে দৌড়াচ্ছো কেন... yoonjun : Mr. Taehyung, ও maybe ভয় পেয়েছে ,দেখুন কেমন হাপাচ্ছে... Taehyung : ভয় ! এখানে ভয় পাওয়ার কি আছে? এরপর jiya নিজেকে শান্ত করে বলে উঠে.. jiya : Mr. Taehyung... সামনে কিছু একটা আছে, আমি ঘুঙুরের sound পেয়েছি, নিশ্চয়ই নর্তকীদের আত্মা ছিলো সেখানে... Taehyung : are you stupid..!! একজন morden মেয়ে হয়ে তুমি ghost এ trust করো, তোমার profession কি তুমি ভুলে গেছো, you are an Archaeologist! jiya : Taehyung plzz trust me, সত্যি ওইখানে কিছু আছে..!! Taehyung : well, আমি গিয়ে দেখছি.... এই বলে Taehyung সামনের দিকে যেতে চায় তখন jiya Tae এর হাত চেপে ধরে বলে... jiya : না না sir, আপনি যাবেন না, আপনাক ধরে নিয়ে যাবে, yoonjun কে পাঠিয়ে দিন! Tae কথাটা শোনার পর রাগী মেজাজে jiyar দিকে তাকালে jiya Tae এর হাত ছেড়ে দেয়! #ff - @ff_x_taerat