@jeons.butterfly0: ক্ষয়িষ্ণু কালো মেঘ~part-1 [এক গালে হাত দিয়ে চোখ ভর্তি পানি নিয়ে দাড়িয়ে আছি ভরা ক্যাম্পাসের স্টুডেন্ট দের মাঝে। সামনে দাড়িয়ে আছে jungkook ভাই ঠোঁটে বাঁকা হাসি দিয়ে... আমি অসহায় চোখে তার দিকে তাকালাম বুঝতে পারছিনা কেনো এরকম টা করলেন, আজকে তো আমি কিছু বলিনি তাকে। হঠাৎ jungkook ভাই চেচিয়ে বলে উঠলেন ,, Jungkook:এই মেয়ের সাথে কোনো দিক দিয়ে যায় আমার সাথে বলতো তোরা? এই বস্তি মেয়ে টা ভালোবাসি ভালোবাসি বলে মাথা খেয়ে যাচ্ছে আমার । এই বলতো তোরা একে কি করা উচিৎ?? Jungkook দের গ্যাং এর একটা মেয়ে, দিয়া বলে উঠলো,, দিয়া: একে একটা চর কেনো দিয়েছিস?? আরও ৪, ৫ টা দে... (দিয়া jungkook কে পছন্দ করে) Jungkook ভাইয়া সত্যিই আমাকে দু গালে আরও ৩ টি থাপ্পর মারলেন.. এতো জোরে মেরেছে যে ঠোঁটের কোন ফেটে রক্ত পড়ছে, রক্ত দেখে তার বন্ধু রা একটু ঘাবরে গেলো তাই আমাকে শাষিয়ে সামনে থেকে চলে যেতে বললো.. আমি চার পাশে চোখ বুলালাম, বেশীর ভাগই হাসছে.... মাথা নিচু করে ধির পায়ে কলেজের পেছনের বকুল গাছ তলায় বসলাম, পাশেই একটা পুকুর আছে.... অঝোর অশ্রু ধারায় মুখের রক্ত ধুয়ে যাচ্ছে , এক দৃষ্টি তে তাকিয়ে আছি পুকুরের দিকে... চলুন আমার পরিচয় আর এসব ঘটার কারন টা জেনে নিন.. (আমি yn , এবার অনার্স ১ম বর্ষে আছি। আর যে এতোসময় আমার সাথে এমন অমানবিক আচরন করলো তিনি আমার ফুপাতো ভাই jeon jungkook। আমরা একই ভার্সিটিতে পরি, উনি মাস্টার্সে আছেন। অনেক সুন্দর দেখতে, ফর্সা গায়ের রং,৬ ফুট হাইট, অনেক স্মার্ট, আর এই ভার্সিটির ভিপি, অনেক ব্রিলিয়ান্ট। গত বছর আমি উনাকে বলেছিলাম ভালোবাসি তারপর থেকেই এরকম আচরণ করেন আমার সাথে। এর আগে আমাকে অনেক আদর করতো ভাইয়া। উনার গাইডেন্স এর জন্যই আমি সবসময় টপ রেজাল্ট করি। কিন্তু এবার ফাস্ট সেমিস্টারের রেজাল্ট টা খুব ভালো হবে না, এর কারন ও jungkook ভাই। ) আমার পরিবারের লোক গুলো কোনো কারনে আমাকে পছন্দ করে না, কি কারন তা আমি এখনও জানিনা, কারও থেকে জানবো সেই উপায়ও নেই কারন আমার সাথে ভালো ভাবে কেউ কথাই বলে না। তাদের কথা আমি অপয়া অলক্ষি। এখন আর ব্যাখ্যা ও খুজি না অভ্যাস হয়ে গেছে এসব এর। তাদের সাথে সম্পর্ক টা টাকার শুধু। যখন যা লাগে পেয়ে যাই শুধু তাদের ভালোবাসা ছাড়া 😅। আমি ভাবছিলাম বসে কি করলাম আমি? ভাইয়া তো নিজেই ডাক দিলেন। ভাইয়ার কড়া নিশেধ এর জন্য ভার্সিটিতে কখনো তার সাথে কথা বলিনি এমনকি কেউ জানেও না যে তিনি আমার কাজিন হন তাহলে?? এসব ভাবছি আর কারো ধাক্কায় হুস এলো, পাশে ফিরে দেখি আমার প্রাণ প্রিয় এবং এক মাএ বান্ধবী Rose FIRST aid box নিয়ে পাশে বসলো, আমি চুপ চাপ ওর কাধে মাথা রাখলাম, এখন আর কান্না পাচ্ছে না। Rose র আসতে দেরি হয়েছে আজ। ও এখনো আমার মুখ দেখেনি তবে শুনতে পেয়েছে আমার মুখ দিয়ে রক্ত পরছে, মুখটা তুলে আতকে উঠলো.. Rose: একি yn তোর দুই গালে ১০ আঙুল এর দাগ বসে গেছে, ঠোট কোন দুটো ও তো ফেটে গেছে, খুব ব্যাথা করছে তাই না?? দেখি আয় মলম লাগিয়ে দেই। Yn চুপ করে বসে আছে আর Rose ছলছল চোখে yn এর মুখ পরিস্কার করে মলম লাগিয়ে দিচ্ছে। Rose:আজ কি কিছু বলেছিলি তুই ভাইয়াকে? Yn: না, জানিনা কেনো করলো. Rose: অনেক তো হলো এবার নিজের কথা টা ভাব, আর কত অপমান সহ্য করবি? আজ তো ভরা ক্যাম্পাছেই.... বোন হিসেবে তো অন্তত এসব না করলেও পারতো । Yn: বাদ দে তো, যাকে নিজের পরিবারই ভালোবাসে না তাকে বাইরের মানুষ আর কি পাওা দিবে। আচ্ছা দাগ গুলো কখন মিটবে রে?? বাসায় নিজের রুম পর্যন্ত তো যেতে হবে.. Rose:নিজের ব্যাথার কথা না ভেবে তুই বাসায় কিভাবে যাবি তাই ভাবছিস?? Yn: মনের ব্যাথা টা দেখলি না? আমার এই অবস্থা নিয়ে কারো মাথা ব্যাথা হবে না, শুধু তাদের প্রস্নের উওর দিতে পারবো না, তুই তো জানিস নতুন করে আর কি বলবো? Rose: yn কে জড়িয়ে ধরে বললো, অনেক ভালোবাসি আমি তোকে। তুই আমার নিজের বোন এর চেয়েও বেশী রে Yn: আমি জানি, এখন ছার লোকে দেখলে ভুল বুঝবে😜 Rose: seriously? এই অবস্থাতেও তুই মজা করছিস? Yn: চল আজ ক্লাস করবোনা, বাসায় যাই। ভালো লাগছে না। মাথাটা ঘুরছে Rose: কি বলিস, চল ডক্টর এর কাছে তারপর বাসায় যাবি। Yn আর কথা বাড়ালোনা কারন rose যেটা বলে সেটা করেই ছাড়ে। মাথা টা অনেক ঘুরছে, আস্তে আস্তে হেটে পার্কিং এ গেলাম rose র সাহায্যে। একবার আড়চোখে দেখলাম jungkook ভাই তাকিয়ে আছে। কিন্ত আমি সরাসরি তাকালাম না গাড়িতে বসলাম, গাল থেকে রক্ত পড়া টা কমছেনা ধূর অসহ্য, সাদা ড্রেস টা ভিজে গেছে অনেক টা। বাসায় ঢোকার সময় দেখলাম কেউ নেই ড্রইং রুমে, দ্রুত চলে গেলাম নিজের ঘরে... তারপর দরজা লক করে চিৎকার দিয়ে কাদতে লাগলাম। continue.... {collected story} #fpyシ #foryou #foryoupage

♡Jeon's butterfly♡

Open In TikTok:

Region: BD

Thursday 13 June 2024 09:42:26 GMT