@el_granchino...007: #mamaderadepelo asta más

EL..GRAN...CHINO...007
EL..GRAN...CHINO...007
Open In TikTok:
Region: CO
Wednesday 31 July 2024 14:07:00 GMT
352
6
0
1

Music

Download

Comments

There are no more comments for this video.
To see more videos from user @el_granchino...007, please go to the Tikwm homepage.

Other Videos

আমরা ৩ ভাইবোন, সিফাত আমাদের আদরের ছোটভাই। ২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, আমার ভাই সিফাত জীবনে প্রথমবারের মতো তার বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধুদের সাথে ভ্রমণে বের হয়। বন্ধুদের গ্রুপে সিফাতসহ মোট ১০ জন ছেলে ও ৩ জন মেয়ে ছিলো। তারা মিরসরাইয়ে এসে কুখ্যাত খৈয়াছড়া ঝর্ণা দেখতে যায়(সচরাচর সবাই গাইড নিয়ে গেলেও, ওরা গাইড নেয়নি) এবং ‘মায়ের দোয়া’ নামের এক হোটেলে অবস্থান করে। হোটেলে পৌঁছানোর পর সকালের নাস্তা সেরে তারা দুপুরের খাবার অর্ডার করে পাহাড়ি ঝর্ণাগুলো দেখতে বের হয়।   প্রথম ঝর্ণায় সকাল ১১টায় পৌঁছানোর পর, সিফাত হোটেলে ফিরে যায় কিছু জিনিস (এখনো জানা যায়নি কী) আনতে। গ্রামবাসীর তথ্য অনুযায়ী সিফাতের পেছন পেছন তাঁর আরও দুইজন বন্ধু হোটেল পর্যন্ত যায়,কিন্তু পরবর্তীতে তারা কখন ঝর্নায় ফিরে গেছে তার কোনো স্পষ্ট উত্তর আমরা সিফাতের বন্ধুদের কাছ থেকে পাইনি । এরপর তারা আরও উপরে ট্র্যাকিং  শুরু করে। দুপুর ১২:৩০-এ তারা ১২তম ঝর্ণায় পৌঁছায়, যা ছিলো একেবারেই নির্জন জায়গায়। এটি একটি ছোট্ট পুকুরের মতো জায়গা, যেখান থেকে বের হওয়ার একমাত্র পথ ছিলো ফিরে আসার রাস্তাটি। চারদিকে ছিলো উঁচু পাহাড়ের খাড়া দেয়াল, আর পানি এতোটাই কম ছিলো যে সেখানে কারো ডুবে যাওয়া অসম্ভব (এ তথ্য আমাদের সেখানকার গ্রামবাসী, পুলিশসহ অনেকেই নিশ্চিত করেছে)।   ওই জায়গায় তারা এক ঘণ্টা বিশ্রাম নেয় এবং অ্যালকোহল পান করে ( একটা ৭৫০ এমএল-এর কেরু তারা ১২ জন মিলে খেয়েছে),শুধু তাদের মধ্যে ‘শিক্ত’ নামের বন্ধু অ্যালকোহল পান করেনি—সে নিজে এবং তার বন্ধুরাও তা জানিয়েছে। এদিকে, সিফাত ও তার দুই বন্ধু উপরে বসে ধূমপান করছিলো, যেখানে পানি পৌঁছায় না এবং সেখান থেকে যদি কেও পরেও যায় তারপরেও সে হাঁটুজলে গিয়ে পরবে। সিফাত পানি থেকে দূরে ছিলো এবং সব ধরনের ঝুঁকি এড়িয়ে চলছিলো। সিফাত জানে এই প্রথমবার সে বন্ধুদের সাথে এমন একটি ভ্রমণে এসেছে, যেখানে যেকোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটলে ভবিষ্যতে বন্ধুদের সাথে এমন ভ্রমণ করার সুযোগ আর নাও হতে পারে। আমি আমার ভাইকে খুব ভালো চিনি—সে খুব সাবধানতা অবলম্বন করে এবং ঝুঁকি এড়িয়ে চলে।   বন্ধুরা সবাইমিলে মুহূর্তটা উদযাপন করতে থাকে, সেই সময় ৫ জন ছেলে পানিতে নামে এবং সাঁতার কাটে। গ্রুপের ৩ জন ছেলে একটি বড়ো পাথর থেকে পানিতে ঝাঁপিয়ে পরেও আনন্দে মেতে ওঠে। এই সময় গ্রুপের ৩জন মেয়ে হাঁটুসমান পানিতে সময় কাটাচ্ছিলো। পাথর থেকে পানিতে ঝাপ দেওয়ার আনন্দে অংশগ্রহণ করতে সিফাতকে ডাকা হয়, কিন্তু সিফাত জানায় সে এখন পানিতে নামবে না। নিচে নামার জন্য সিফাতের বন্ধুরা সিফাতকে ইনসিস্ট করলেও সে নিজের মতো করে উপরে বসে সময়টা উপভোগ করতে থাকে। আর সিফাত যে পানিতে নামতে আগ্রহী ছিলো না, এই কথা শাওন নামের এক ছেলে আমাদের কাছে এবং গ্রামবাসী ও পুলিশের কাছে কনফার্ম করেছে।   বেলা ২:৩০ নাগাদ, সিফাতের বন্ধুরা দাবি করে যে তারা হঠাৎ দেখতে পায়, সিফাত আর সেখানে নেই।তাঁদের সবার এক অদ্ভুত দাবি, যে সিফাত নাকি তাঁদের চোখের সামনে থেকে উধাও হয়ে গেছে। তাদের দাবি অনুযায়ী, তারা সিফাতকে খোঁজা শুরু করে যা একদমই ঠিক নয় কারণ গ্রামবাসীরা বলেছে তারা বিকেল ৪টার দিকে হোটেল এ ফিরে আসে এবং তড়িঘড়ি করে ঢাকা ব্যাক করার ট্রাই করে। গ্রামবাসীদের সন্দেহ হয়, সাথে সাথেই তারা সিফাতের কথা জিজ্ঞেস করে,আর মায়ের দোয়া হোটেলেও সকালের হিসাবে দুপুরের খাবারের জন্য তেরো জনের রান্না করা ছিলো। জিজ্ঞেস করার এক পর্যায়ে গ্রুপের একজন মেয়ে বলে মারা খাক সিফাত, জানি না ও কই।(গ্রামের এক মহিলা এই কথা উইটনেস করেছে বলে আমার মা’কে জানিয়েছে) বাকি কয়েকজন বন্ধুরা বলে সিফাত নাকি হুট করে অসুস্থ হয়ে যায় এবং হোটেলে ব্যাক করে। কিন্তু পাহাড়ের উপর থেকে, হোটেলে ফিরে যাওয়ার পথ বিপজ্জনক এবং প্রাণঘাতী পথ ধরে  একা একা ফিরে আসার সিদ্ধান্ত সিফাতের নেয়ার কথা না,আর হোটেলে রওনা হলেও বন্ধুদের কাওকে না কাওকে তো জানিয়ে যাওয়ার কথা। আমার ভাই এমন ধরনের জায়গায় কখনো একা থাকতে পছন্দ করবে না; সে সহজেই ভয় পাবে, বিশেষ করে যেখানে অতীতে মানুষ মারা গেছে বলে শোনা গেছে এমন জায়গায় সিফাত অবশ্যই এবং অবশ্যই সতর্ক থাকবে।গ্রামবাসীদের সন্দেহ হলে তারা সিফাতের বন্ধুদের ঢাকা যেতে নিষেধ করে,কিন্তু তবুও বারোজনের ভেতর পাঁচজন ঢাকা চলে আসে। পরে পরিস্থিতি একেবারেই অস্বাভাবিক মনে হলে বাকি সাতজনকে গ্রামবাসী হোটেলে আটকে দেয়।       গ্রুপের‘আসিফ’ নামের এক ছেলে বলে সে নাকি রাত ৯টায় ৯৯৯ নম্বরে কল করে পুলিশকে জানায়, এবং পুলিশ তাদের থানায় যেতে বলে যা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। মিরসরাই থানা পুলিশ আমাদের জানায় তাঁদের কাছে এমন কোনো অভিযোগ আসেনি।     সেদিন রাত ৯টার দিকে আমরা পরিবারের সবাই বুঝতে পারি যে সিফাতের সাথে ৬ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে কোনো যোগাযোগ নেই এবং তার বন্ধুদের সাথেও যোগাযোগ সম্ভব হচ্ছিলো না।#mijan_chawdhary
আমরা ৩ ভাইবোন, সিফাত আমাদের আদরের ছোটভাই। ২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, আমার ভাই সিফাত জীবনে প্রথমবারের মতো তার বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধুদের সাথে ভ্রমণে বের হয়। বন্ধুদের গ্রুপে সিফাতসহ মোট ১০ জন ছেলে ও ৩ জন মেয়ে ছিলো। তারা মিরসরাইয়ে এসে কুখ্যাত খৈয়াছড়া ঝর্ণা দেখতে যায়(সচরাচর সবাই গাইড নিয়ে গেলেও, ওরা গাইড নেয়নি) এবং ‘মায়ের দোয়া’ নামের এক হোটেলে অবস্থান করে। হোটেলে পৌঁছানোর পর সকালের নাস্তা সেরে তারা দুপুরের খাবার অর্ডার করে পাহাড়ি ঝর্ণাগুলো দেখতে বের হয়। প্রথম ঝর্ণায় সকাল ১১টায় পৌঁছানোর পর, সিফাত হোটেলে ফিরে যায় কিছু জিনিস (এখনো জানা যায়নি কী) আনতে। গ্রামবাসীর তথ্য অনুযায়ী সিফাতের পেছন পেছন তাঁর আরও দুইজন বন্ধু হোটেল পর্যন্ত যায়,কিন্তু পরবর্তীতে তারা কখন ঝর্নায় ফিরে গেছে তার কোনো স্পষ্ট উত্তর আমরা সিফাতের বন্ধুদের কাছ থেকে পাইনি । এরপর তারা আরও উপরে ট্র্যাকিং শুরু করে। দুপুর ১২:৩০-এ তারা ১২তম ঝর্ণায় পৌঁছায়, যা ছিলো একেবারেই নির্জন জায়গায়। এটি একটি ছোট্ট পুকুরের মতো জায়গা, যেখান থেকে বের হওয়ার একমাত্র পথ ছিলো ফিরে আসার রাস্তাটি। চারদিকে ছিলো উঁচু পাহাড়ের খাড়া দেয়াল, আর পানি এতোটাই কম ছিলো যে সেখানে কারো ডুবে যাওয়া অসম্ভব (এ তথ্য আমাদের সেখানকার গ্রামবাসী, পুলিশসহ অনেকেই নিশ্চিত করেছে)। ওই জায়গায় তারা এক ঘণ্টা বিশ্রাম নেয় এবং অ্যালকোহল পান করে ( একটা ৭৫০ এমএল-এর কেরু তারা ১২ জন মিলে খেয়েছে),শুধু তাদের মধ্যে ‘শিক্ত’ নামের বন্ধু অ্যালকোহল পান করেনি—সে নিজে এবং তার বন্ধুরাও তা জানিয়েছে। এদিকে, সিফাত ও তার দুই বন্ধু উপরে বসে ধূমপান করছিলো, যেখানে পানি পৌঁছায় না এবং সেখান থেকে যদি কেও পরেও যায় তারপরেও সে হাঁটুজলে গিয়ে পরবে। সিফাত পানি থেকে দূরে ছিলো এবং সব ধরনের ঝুঁকি এড়িয়ে চলছিলো। সিফাত জানে এই প্রথমবার সে বন্ধুদের সাথে এমন একটি ভ্রমণে এসেছে, যেখানে যেকোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটলে ভবিষ্যতে বন্ধুদের সাথে এমন ভ্রমণ করার সুযোগ আর নাও হতে পারে। আমি আমার ভাইকে খুব ভালো চিনি—সে খুব সাবধানতা অবলম্বন করে এবং ঝুঁকি এড়িয়ে চলে। বন্ধুরা সবাইমিলে মুহূর্তটা উদযাপন করতে থাকে, সেই সময় ৫ জন ছেলে পানিতে নামে এবং সাঁতার কাটে। গ্রুপের ৩ জন ছেলে একটি বড়ো পাথর থেকে পানিতে ঝাঁপিয়ে পরেও আনন্দে মেতে ওঠে। এই সময় গ্রুপের ৩জন মেয়ে হাঁটুসমান পানিতে সময় কাটাচ্ছিলো। পাথর থেকে পানিতে ঝাপ দেওয়ার আনন্দে অংশগ্রহণ করতে সিফাতকে ডাকা হয়, কিন্তু সিফাত জানায় সে এখন পানিতে নামবে না। নিচে নামার জন্য সিফাতের বন্ধুরা সিফাতকে ইনসিস্ট করলেও সে নিজের মতো করে উপরে বসে সময়টা উপভোগ করতে থাকে। আর সিফাত যে পানিতে নামতে আগ্রহী ছিলো না, এই কথা শাওন নামের এক ছেলে আমাদের কাছে এবং গ্রামবাসী ও পুলিশের কাছে কনফার্ম করেছে। বেলা ২:৩০ নাগাদ, সিফাতের বন্ধুরা দাবি করে যে তারা হঠাৎ দেখতে পায়, সিফাত আর সেখানে নেই।তাঁদের সবার এক অদ্ভুত দাবি, যে সিফাত নাকি তাঁদের চোখের সামনে থেকে উধাও হয়ে গেছে। তাদের দাবি অনুযায়ী, তারা সিফাতকে খোঁজা শুরু করে যা একদমই ঠিক নয় কারণ গ্রামবাসীরা বলেছে তারা বিকেল ৪টার দিকে হোটেল এ ফিরে আসে এবং তড়িঘড়ি করে ঢাকা ব্যাক করার ট্রাই করে। গ্রামবাসীদের সন্দেহ হয়, সাথে সাথেই তারা সিফাতের কথা জিজ্ঞেস করে,আর মায়ের দোয়া হোটেলেও সকালের হিসাবে দুপুরের খাবারের জন্য তেরো জনের রান্না করা ছিলো। জিজ্ঞেস করার এক পর্যায়ে গ্রুপের একজন মেয়ে বলে মারা খাক সিফাত, জানি না ও কই।(গ্রামের এক মহিলা এই কথা উইটনেস করেছে বলে আমার মা’কে জানিয়েছে) বাকি কয়েকজন বন্ধুরা বলে সিফাত নাকি হুট করে অসুস্থ হয়ে যায় এবং হোটেলে ব্যাক করে। কিন্তু পাহাড়ের উপর থেকে, হোটেলে ফিরে যাওয়ার পথ বিপজ্জনক এবং প্রাণঘাতী পথ ধরে একা একা ফিরে আসার সিদ্ধান্ত সিফাতের নেয়ার কথা না,আর হোটেলে রওনা হলেও বন্ধুদের কাওকে না কাওকে তো জানিয়ে যাওয়ার কথা। আমার ভাই এমন ধরনের জায়গায় কখনো একা থাকতে পছন্দ করবে না; সে সহজেই ভয় পাবে, বিশেষ করে যেখানে অতীতে মানুষ মারা গেছে বলে শোনা গেছে এমন জায়গায় সিফাত অবশ্যই এবং অবশ্যই সতর্ক থাকবে।গ্রামবাসীদের সন্দেহ হলে তারা সিফাতের বন্ধুদের ঢাকা যেতে নিষেধ করে,কিন্তু তবুও বারোজনের ভেতর পাঁচজন ঢাকা চলে আসে। পরে পরিস্থিতি একেবারেই অস্বাভাবিক মনে হলে বাকি সাতজনকে গ্রামবাসী হোটেলে আটকে দেয়। গ্রুপের‘আসিফ’ নামের এক ছেলে বলে সে নাকি রাত ৯টায় ৯৯৯ নম্বরে কল করে পুলিশকে জানায়, এবং পুলিশ তাদের থানায় যেতে বলে যা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। মিরসরাই থানা পুলিশ আমাদের জানায় তাঁদের কাছে এমন কোনো অভিযোগ আসেনি। সেদিন রাত ৯টার দিকে আমরা পরিবারের সবাই বুঝতে পারি যে সিফাতের সাথে ৬ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে কোনো যোগাযোগ নেই এবং তার বন্ধুদের সাথেও যোগাযোগ সম্ভব হচ্ছিলো না।#mijan_chawdhary

About