#দ্বিতীয়_বিয়ে🌷 (part-10) উঠে দাঁড়াল yn সে জানে তার ভাগ্য সবসময় তার মতো অচল।নিজের ভাগ্যকে এক আকাশ সমান ঘৃণা করে yn।বেলকনি ছাড়লো সে উঠে রুমে এসে বেডে শুতেই মনে পড়ল জাংকুকের সকালের কথা,তার থেকে দূরে থাকতে বলেছে জাংকুক। আলমারি থেকে একটা চাদর আর একটা বালিশ নিয়ে মেঝেতেই নিজের শোয়ার জায়গা করল।লাইট নিভিয়ে ঘুমিয়ে গেলো yn।রাত ১:০০টার দিকে জাংকুক বাড়ি ফিরলো।নিজের কাছে থাকা এক্সট্রা চাবি দিয়ে সদর দরজা খুলে ভেতরে প্রবেশ করল।না আজ আর yn তার জন্য খাবার নিয়ে বসে নেই কিন্ত একটা খাবারের প্লেট ডাইনিং টেবিলে রাখা রয়েছে।তার জন্যেই হয়তো রেখেছে yn।মেয়েটি সত্যি খুব ভালো,সাধাসিধে। হাসলো জাংকুক।নিজের উপর নিজেরই ঘৃণা হচ্ছে।মেয়েটির সাথে সকল সম্পর্ক থাকার সত্বেও তাকে নিজের বউ হিসেবে মানতে পারছে না।হয়তো iuর কথা ভেবেই পারছে না। গাঁয়ের এপ্রোনটা খুলে সোফায় ছুঁড়ে মারলো জাংকুক।বেসিনে হাত ধুঁয়ে এসে খাবার শেষ করল।অতঃপর নিজের রুমে এসে পৌঁছালো।দরজা খুলতেই পুরো ঘর অন্ধকার দেখে জাংকুক ভাবলো হয়তো yn ঘুমিয়ে গিয়েছে তাই লাইট না জ্বালিয়ে নীল রঙের ড্রিম লাইটটা জ্বালালো। বেডে চোখ যেতেই ynকে না দেখে ভ্রু-কুঁচকে এলো জাংকুকের কিন্ত পরক্ষণেই নিচে তাকাতেই ynকে দেখতে পেলো যে আপাতত কম্বল মুড়িয়ে গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন।ynর সামনে গিয়ে থামলো জাংকুক হাঁটু গেড়ে ynর সামনে বসলো।কী নিষ্পাপ চেহারা অজান্তেই জাংকুকের ynর জন্য মায়া হলো সকালে কত জোরেই না মেয়েটাকে থাপ্পর মেরেছিল। থাপ্পরের কথা মনে পড়তেই ynর ঠোঁটের দিকে তাকালো জাংকুক রক্ত জমাট বেঁধে গিয়েছে।ফর্সা হওয়ায় ড্রিম লাইটের আলোয় বেশ ফুঁটে উঠেছে কালো দাগটি।জাংকুকের ইচ্ছা হলো মলম লাগিয়ে দিতে কিন্ত পারলো না ynকে দূরে থাকতে বলেছে নিজের জীবন থেকে তাহলে তার কাছে যাওয়া মানে বোকামি ছাড়া আর কিছুই না। উঠল জাংকুক।বেডে এলিয়ে দিলো নিজের ক্লান্ত শরীর। মাঝখানে কেটে গেলো একটা মাস।yn জাংকুকের থেকে দূরে দূরে থাকে।কথাও এত বেশি বলে না যা একটা বলে তাও সামান্য, কোনো কাজের কথা হলে তাহলে।জাংকুকও কথা বলে না ynর সাথে কিন্ত ynর ইগনোর কেন জানি জাংকুকের সহ্য হয় না।তবুও মুখ ফুঁটে কিছু বলে না নিজের ইগোতে আঁচ লাগবে বলে। প্রত্যেকদিনের মতো সকাল সকাল উঠে yn সবার জন্য নাস্তা বানিয়ে টেবিলে সাজালো।তার মাঝখানেই জাংকুকের মা,বাবা এসে টেবিলে বসল।yn হাসি মুখে দুইজনকে খাবার সার্ভ করল। কিছুক্ষণের মধ্যে জাংকুকও ফোনে কথা বলতে বলতে টেবিলে এসে বসল।yn জাংকুকের প্লেটে খাবার তুলে দিয়ে রান্নাঘরে চলে গেল।চোখ তুলে ynকে একবার দেখল জাংকুক অতঃপর ফোন রেখে খাওয়াই মনোযোগ দিলো। jk/d:জাংকুক তোমার মাহফুজ চাচ্চুর ছেলে কিছুদিন আগে লন্ডন থেকে ফিরেছে।ও চাইছে আমাদের হসপিটালে জয়েন করতে।তুমি ওর জন্য আলাদা কেবিনের ব্যবস্থা করো। জাংকুক খুশি হলো তার বাবার কথা শুনে সেও চাইছিল তার ভাই taehyung তাদের হসপিটালে জয়েন হোক।বয়সে কিছুমাসের বড় জাংকুক taehyungর কিন্ত তারা দুইজনই বেশ বন্ধুসুলভ।taehyung লন্ডনের একটা বড় হসপিটালে কাজ করে।মাঝে মাঝে বাংলাদেশে আসে গরীবদের চিকিৎসা দেওয়ার জন্য।এতোবছর বলেও তাকে কেয়ার ক্লিনিকে জয়েন করাতে পারেনি কিন্ত হঠাৎ আজ নিজেই জয়েন হতে চাচ্ছে এতে বেশ খুশি জাংকুক। জাংকুক:আচ্ছা বাবা আমি সকল কিছু ব্যবস্থা করে দিব। "কেয়ার ক্লিনিক" জাংকুক নিজের কেবিনে প্রবেশ করতেই অবাক হলো taehyung বসে আছে তার কেবিনে।জাংকুক মুখে হাসি ঝুলিয়ে taehyungর সামনে গেলো। taehyung:জাংকুক কেমন আছিস। জাংকুক:তুই কেমন আছিস।অনেক দিন পর দেখা হলো। দুইজনেই কোলাকুলি করল।taehyung নিজের মুখের মাস্কটা খুলল সাথে সাথে আবিষ্কৃত হলো এক সুদর্শন মুখশ্রী।ফর্সা গাঁয়ের রং,চোখে অসম্ভব মায়া,আর এক কানে ঝুলছে লং চেইনের ইয়ারিং।এক কথায় সিনেমার কোনো হিরোর চেয়ে কম না।আর জাংকুকও কোনো অংশে কম নয় taehyungর থেকে।বলতে গেলে দুই ভাই বেশ সুদর্শন।যেকোনো মেয়ে এক দেখাই পাগল হতে বাধ্য। বেশ কিছুক্ষণ কথা বলল জাংকুক আর taehyung।কথার মাঝে taehyung জানতে পারলো জাংকুকের বিয়ে হয়েছে।বেশ অবাক হলো সে।আসলে জাংকুকের বিয়ে ঘরোয়াভাবে হওয়াই হাতে গণা কয়েকজন ছাড়া কেউ জানে না এই বিয়ের সম্পর্কে।এর মাঝে taehyungকে জাংকুক জানিয়েছে খুব জলদি জাংকুক ynকে ডিভোর্স দিবে। taehyung:তুই যখন অন্য একটা মেয়েকে ভালোবাসিস তাহলে ওই মেয়েটাকে বিয়ে করেছিস কেন। জাংকুক:মা,বাবা জোর করে দিয়েছে আর তুই তো জানিস মায়ের হার্টের সমস্যা আছে তাই আমি মায়ের মুখের দিকে তাকিয়ে এই বিয়ে করেছি। taehyung:তাহলে এখন কী করবি।তুই কী ভাবছিস yn মেয়েটিকে ডিভোর্স দিতে চাইলেই ও দিয়ে দিবে। জাংকুক মুচকি হেঁসে বলল, জাংকুক:তুই তো এখনও ওকে দেখিসনি বা ওর সাথে কথাও বলিসনি তাই তুই এমন কথা বলতে পারলি।yn খুব সাধাসিধে,সহজ সরল আমি বললেই ডিভোর্স দিয়ে দিবে] 200 copy link for next part❤️‍🩹 - @jeonwife72