@kim_tae_wifey9: ♥︎𝐂𝐨𝐮𝐬𝐢𝐧 𝐥𝐨𝐯𝐞♥︎ 𝐒𝟐 ||𝐏𝐚𝐫𝐭 𝟎𝟔|| কেটে গেলো এক সপ্তাহ। Tae যেন আড়াল হয়ে গিয়েছে Y/n-এর জীবন থেকে। তার দেখা মিলেছে কেবল খাবার টেবিলে, নাহয় বাসায় ঢোকার সময়। কখনো কখনো Y/n লুকিয়ে তার রুমে উঁকি দিয়ে দেখেছে তাকে। তবে Tae একবারও Y/n-এর সঙ্গে কথা বলেনি। আর Y/n-এরও লজ্জায় তার কাছে গিয়ে কথা বলার সাহস হয়নি। এই এক সপ্তাহ Y/n-এর জন্য কষ্টের পাহাড় হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তার মনের আবেগগুলো যেন একাকীত্বে ডুবে গিয়েছিল। তাই আজ সকাল সকাল তৈরি হয়ে ভার্সিটিতে চলে গেল Y/n। সেখানে Y/n2 আর আনিকার কাছে নিজের কষ্টের কথা শেয়ার করছিলো। Y/n অসহায়ের মতো বললো, "তোরা বল, কীভাবে মুখ ফুটে ওনার সঙ্গে কথা বলবো? আমার সাহসই তো হয় না। অথচ কত কিছু বলার ছিলো..." Y/n2 তাকে বোঝানোর চেষ্টা করছিলো, "তুই এমন করে চুপ থাকলে তো চলবে না। তাকে গিয়ে বল! যা বলার বল।" আনিকা মাথা নাড়িয়ে বললো, "হ্যাঁ রে, আর এভাবে না বললে ওনার কীভাবে বোঝাবে যে তুই তাকে মিস করছিস? সাহস কর, Y/n!" ঠিক তখনই দূর থেকে দৌড়ে আসিফ এগিয়ে এলো। আসিফকে দেখেই Y/n মৃদু 'চ' শব্দ করে উঠলো।আসিফ তােদের বন্ধ হয়েও বন্ধু নয়, বরং তার ভাইয়ের assistant। যে কোনো কিছু তারা করলেই তা চলে গিয়ে জিমিনকে জানিয়ে দেয়। আসিফ হাসতে হাসতে বললো, "কিরে, কেমন আছিস?" Y/n একটু মুচকি হেসে বললো, "ভালো আর থাকতে দিলি কই?" তবে সে চুপচাপ Y/n2-কে ইশারা দিয়ে জানতে চাইলো কী হয়েছে। Y/n2 কিছু একটা ইশারা করতেই Y/n বুঝে গেল। তারপর আসিফ বললো, "ক্লাসে চল, আজকে treat দিবো তোদের।" Y/n একটু ভাবলো, তারপর বললো, "না, বাসায় যেতে হবে। ভাইয়া রেগে যাবে।" আসিফ একটু বিরক্ত হয়ে বললো, "আচ্ছা, তাহলে থাক। অন্য একদিন।" তখন হঠাৎ এক ছেলে আসে, আর আনিকাকে বলতে থাকে, "সরি আপু, সরি। আর কোনো দিন আপনাকে বা কোনো মেয়েকে proposal দিবো না। সবাইকে বোন বলে ডাকবো। প্লিজ, আমাকে মাফ করে দিন।" আনিকা, Y/n, Y/n2- এর সব কিছু মাথার উপর দিয়ে চলে যাচ্ছিলো। তারা কিছু বুঝতেই পারলো না। আসিফ একটু বিরক্তি নিয়ে বললো, "আচ্ছা আচ্ছা, আপনি যেতে পারেন। ও মাফ করে দিবে।" ছেলেটা তাদের সিনিয়র ছিল। মাথা নেড়ে চলে গেলো। তিনজন একে অপরের দিকে একটিবার তাকালো। Y/n অবাক হয়ে বললো, "হলোটা কি?" আনিকা একটু হতভম্ব বললো, "বুঝলাম না। এক সাপ্তাহ আগে ছেলেটা প্রেম প্রস্তাব দিছে, নাছোরবান্দার মতো পিছে পিছে ঘুরছে, আর আজকে এসে 'আপু আপু' বলছে! ব্যাপার কী?" তারা একসাথে আসিফের দিকে তাকাল, আর আসিফের মুখে হাসি থেমে গেলো। Y/n চোখ তিরিশ করে বললো, "জিমিন ভাইয়া কে বলেছি তুই! তোর জন্য ছেলেটা মাইর খাইছে!" আসিফ একটু আতঙ্কিত হয়ে বললো, "আমি কিছু করি নাই, সব ভাইয়া করছে!" তারা ক্লাসে চলে গেলো, আর আনিকা অসহায়ভাবে বলতে শুরু করলো, "কি একটা অবস্থা, Y/n..." Y/n2 y/n এর উপর হেলে পরে বলে, "তোর সাথে বন্ধুত্ব করার পর একটাও প্রেম করতে পারলাম না!" Y/n খানিকটা হেসে বললো, "এটা কি আমার দোষ? জিমিন ভাইয়া এমন, আমি কী করতাম?" তারা নিজেদের মধ্যে গল্প করতে থাকে,।কথায় আছে না "সঙ্গ দোষে লোহা ভাসে।" Y/n যাতে অন্য কারো আস্কারা পেয়ে খারাপ পথে না চলে যায়, তাই তার ভাই জিমিন, তার তিন বাপ চাচা সবাই তার বন্ধুদের উপরেও নজর রাখে। আনিকা আজ পর্যন্ত একটাও প্রেম করতে পারে না। যদি কেউ প্রপোজ করতো, তাহলে সে মার খেয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতো। সব কিছু করতো Y/n এর ভাই, জিমিন। আর Y/n2 তো নিজেই প্রেম করছে জিমিনের সাথে। Y/n এর কথা তো বাদই দিলাম, সে তো Tae এর ভালোবাসায় অন্ধ হয়ে গেছে! -- বিকেল বেলা, Y/n নিজের রুমে বসে বসে ইশার সঙ্গে গল্প করছিল। হঠাৎ, ইফাদ দৌড়ে এসে বললো, "Y/n আপু, ইশাপু! Tae ভাই বাইক গাড়ি একসাথে কিনেছে!" তারা দুজন একসাথে চমকে উঠে বলে উঠলো, "কিহ?!" এরপর, তারা দুজন সবার কথা শুনে অবাক হয়ে বাহিরে চলে গেলো। গিয়ে দেখে সেখানে রহিমা সিকদার, ফাহিমা সিকদার, ফাতেমা সিকদার বাহিরে। বাসায় আজিজুর সিকদার, সোলায়মান সিকদার নেই। শুধু আছে আশরাফ সিকদার। জিমিন Tae এর সাথে দাঁড়িয়ে আছে। জীবনের প্রথম বাপ চাচাদের বাধ্য সন্তান অবাধ্য কাজ করলো তা আবার গাড়ি কিনে। বাসা আগেই অনেক গাড়ি আছে। জিমিন নিজেও বাইক কিনেছে দুইটা। এখন আবার গাড়ি বাইক কিনেছে। ব্যাপার টা ভালো ভাবো নিতে পারলো না আশরাফ সিকদার। তিনি জানেন তার বড় ভাইরা জানলে বাসায় আগুন লাগিয়ে দিবেন। সবাই আছে সবার চিন্তা এইদিকে y/n হা করে তাকিয়ে আছে tae এর দিকে। কারো কালারের বাইকের সাথে tae এর পরনে কালো জামা। একদম সেই লাগছে y/n এর কাছে। To be continue... #unfreezemyacount #taehyung_ff #kim_tae_wifey9 #foryoupage #foryou #_তোমাগো_teddy_আফা #foryou

🐻তোমাগো Teddy আফা🐻

Open In TikTok:

Region: BD

Wednesday 25 December 2024 11:00:19 GMT