@jeon_tamiskook07: #hidden_love_s3 Part-79 কিছুক্ষণ বাদে জবেদা বেগম এলেন কফি হাতে। নিজের জন্যও চা নিয়ে এসেছেন। ছেলের পাশে বসে কফিটা এগিয়ে ধরেন। জাংকুক নিয়ে পুনরায় টিভির পর্দায় দৃষ্টি ফেলল। একটি ঝগড়ার দৃশ্য চলছে। দুজন গ্রামীণ মহিলা আঁচল বেঁধে ঝগড়া করছে। ভাষা এবং চেঁচামেচি শুনে জাংকুক স্তব্দ, বিমুঢ়। সে চ্যানেল পরিবর্তন করতে চাইলে, জবেদা বেগম বাঁধ সাধেন। আগ্রহী চোখে চেয়ে বলেন, J/m: দেখ কীভাবে ঝগড়া করছে! ঝগড়ার একেকটা কথা পয়েন্টে পয়েন্টে। জাংকুক বাকরুদ্ধ না হয়ে পারল না, Jungkook: আশ্চর্য! এই ঝগড়ার কথা পয়েন্টে পয়েন্টে হলেও আমি দেখে কী করব? জবেদা বেগম বিরক্তমুখে বোঝালেন, J/m: ঝগড়া করাও একটা আর্ট! শিখে রাখা ভালো। কাজে দেবে ভবিষ্যতে। জাংকুক বিরসভাব নিয়ে উঠে দাঁড়াতে চাইল। জবেদা বেগম নিজের থেকে দ্বিগুণ উচ্চতার ছেলেকে টেনে বসিয়ে দিলেন। উৎসাহ নিয়ে বললেন J/m: দেখ না একটু। জাংকুক অগ্যত উদাস নয়নে ফের দৃষ্টি ফেলল টিভির পর্দায়। কফিতে ঠোঁট বসাতে-বসাতে মস্তিষ্ক অন্য ভাবনায় বিভোর। এযাত্রায় মুফতি বেগম আসলেন। তিনি এসেই ভীষণ আগ্রহ নিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, Yn2/m: কী হয়েছে! ওম্নেই জবেদা বেগম তাকে টেনে পাশে বসিয়ে দিলেন। টেলিভিশনের পর্দায় চলতে থাকা ঝগড়া দেখাতে ব্যস্ত হলেন। মুফতি বেগমও অতিমাত্রায় আগ্রহভরা নয়নে দেখতে বসেন। দেখে-দেখে মন্তব্যও করেন। সে সুযোগের সৎব্যবহার করল জাংকুক। আলগোছে উঠে পড়ল। ত্বরান্বিত পায়ে সিঁড়ি বেয়ে ওপরে উঠে এলো। নিজ রুমে ফিরল ঝটপট। আগামীকালের গুরুত্বপূর্ণ অফিস কাগজপত্র সহ ল্যাপটপ হাতে তুলে নিয়ে এগুল বারান্দার দিক। বারান্দায় বসল আরামদায়ক ভঙ্গিতে। ঊরুতে ল্যাপটপ রেখে, কফি খেতে-খেতে ব্যস্ত হলো কাজে। কাজকর্মে মননিবেশ হতেই ভুলে বসল রাণী ভিক্টোরিয়া Yn কে। যিনি ধেইধেই করে ঘুরতে বেরিয়েছে। ঘড়ির কাঁটা এখন এগারোটা বিশে। আসমানের এসময় গুরুতর দুর্দশা। কালো মেঘে আচ্ছন্ন পরিপূর্ণ আকাশ। ঢাকঢোল পিটিয়ে মেঘেরা গর্জন করছে। চাঁদের কোনো হদিশ নেই। উদাসীন বৃষ্টি এই নামবে নামবে হাবভাব। গাড়ির ধ্বনি কর্ণগোচর হলো। ফিরেছে হয়তো সকলে। জাংকুক উঠল না। নাক ফুলালো। ধ্যানমগ্নতায় কাজে ডুবল পুনরায়। মিনিট চারেকের মাথায় দরজায় করাঘাত পড়ল। পরপর ঢুকল Ynর মাথাটা। জাংকুক মাথা তুলল না ল্যাপটপ স্ক্রিন হতে। না সে ফিরে চাইল। Yn ছোটো করে, 'আসলাম' বিড়বিড়িয়ে জানাল। এতেও জাংকুক বিন্দুমাত্র প্রতিক্রিয়া দেখাল না। নিজের মতোন কাজ করেই গেলো। Yn ছোটোছোটো পদচারণে বারান্দায় এলো। মাথা ঝুকিয়ে দেখল কর্মরত জাংকুক কে। চঞ্চল চাহনি দ্বারা চেয়ে রইল। বেচারি বেজায় চিন্তিত জাংকুক এর গম্ভীর, আগ্রহহীন হাবভাবে। Yn মিনিটখানেক চুপচাপ দাঁড়িয়ে থেকে শুধাল, Yn: জাংকুক ভাই, কী করেন? জাংকুক নিরুদ্বেগ, নির্লিপ্ত। ইষৎ ধ্বনি তুলে ল্যাপটপের কীবোর্ড টিপে চলল। প্রয়োজন অনুভব করল না দৃষ্টি তুলে তাকানোর। Yn আশ্চর্যের সপ্তমে পৌঁছাল। চোখমুখ ভোঁতা হলো। অভিমানে সিক্ত হবার জোগাড় তার আঁখিদুটি, Yn: কথা বলছেন না কেন! দিনশেষে জাংকুক দুর্বল Ynর প্রতি। ওর সামনে সে অসহায়। চেয়েও দীর্ঘক্ষণ এড়াতে পারে না, এই মেয়েকে! বিধাতা তাকে এতটা শক্ত হৃদয় দেননি। এযাত্রায় ল্যাপটপের স্ক্রিনে দৃষ্টি রেখেই গম্ভীরকণ্ঠে বলে, Jungkook: দেখছিস না কী করছি? Ynর বুকের ভেতরটা দুরুদুরু কাঁপল। তিরতির কাঁপছে ওষ্ঠদ্বয়। যেন কিছু বলতে চায়ম অভিমানে হৃদয় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। একচিত্তে চেয়ে থাকে জাংকুক এর মুখপানে। ঝুমঝুমিয়ে বর্ষণ নামে তক্ষুনি। Yn অন্যমনস্ক ভঙ্গিতে বাইরে তাকায়। বৃষ্টিতে দৃষ্টি পড়তে ভেতরটা ধক করে ওঠে। ছাঁদে ঘটিত একেকটি দৃশ্য ফিল্মের মতো দু'চোখের পাতায় ভাসে। ক্ষণিকের অভিমান অদৃশ্য হয়ে যায়। দৃষ্টি ফিরিয়ে আড়চোখে জাংকুক এর পানে চাইতেই, দৃষ্টিতে দৃষ্টি মিলে। জাংকুক গুনেগুনে মিনিট খানেক ধরে দেখেছে Ynর লাজুক মুখশ্রী। বৃষ্টির পানে চেয়ে রক্তিম হয়ে আসা; ওর গালজোড়া সে নির্নিমেষ উপভোগ করেছে। দৃষ্টিতে দৃষ্টি মিলতেই জাংকুক এর শরীর জুড়ে উত্তাপ। দৃষ্টি নিবিড়। নীরবতা ভেঙে বলে, Jungkook: ঘুরতে গিয়েছিলি? Yn ধীরেসুস্থে দুবার মাথা দুলিয়ে বোঝায়, হুঁ গিয়েছিল। জাংকুক নির্বিকার ভঙ্গিতে বলল, Jungkook: ঘুরাফেরা হয়েছে, এখন গিয়ে শুয়ে পড়। Yn চুপচাপ দাঁড়িয়ে। মুখটা চুপসানো। সে ইতস্তত ভঙ্গিতে প্রশ্ন করল, Yn: আপনি কী আমার ওপর রেগে! জাংকুক এর কাঠখোট্টা জবাব, Jungkook: 'না। Yn যেন পাকাপোক্ত ভাবে স্বীকৃতি পেলো। বিড়বিড়িয়ে বলল, Yn: আমি কি করলাম! আমার ওপর রাগার কারণ কী! রাগা তো আমার উচিত!' [1000+cp] #fyp #foryou #foryoupage

♡𝓜𝓻𝓼_ 𝓳𝓮𝓸𝓷_𝓑𝓾𝓷𝓷𝔂♡

Open In TikTok:

Region: BD

Monday 17 February 2025 12:31:02 GMT