@_suju_7: ✿—•তোমাকে চাই||༅𝐒𝟑🕊️ –পর্ব ২২| |🌿 পাশ থেকে আরেকজন গার্ড এসে ভয়ে ভয়ে বলে, –'স্যার, আপনারা আসার পর থেকে বা'ম আর গ্রিম রিপার খুবই অস্থির হয়ে হয়ে পড়েছে। আমার মনে হচ্ছে আপনারা যদি ওদের সাথে একটু দেখা করে আসেন। তাহলে হয়তো ওরা শান্ত হয়ে যাবে। জাংকুক আর তেইহিয়ং এর টনক নড়ে। তারা এসে এইসব মিটিং আর পার্টির মধ্যে এতই মগ্ন ছিলো যে বা'ম আর গ্রিম রিপারের সাথে দেখা করার সুযোগ হয়ে উঠে নি। তেইহিয়ং ওয়াইনের গ্লাস'টা একজন গার্ডের হাতে দিলো। জাংকুক হাত থেকে সিগারেটের শেষ অংশটুকু ফ্লোরে ফেলে দিলো।এরপর সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠতে থাকলো। তৃতীয় তলার একদম শেষের দুইটা রুমে থাকে ডোবারম্যান বা'ম (কুকুর) আর গ্রিম রিপার (বাজপাখি)। তেইহিয়ং গ্রিম রিপারের রুমে ফিঙ্গার লক দিয়ে ঢুকে পড়লো। “গ্রিম রিপার বাজ” চোখ দুটো লালচে আগুনে জ্বলছে, আর তার পালকের কুচকুচে কালো রঙ যেন রাতের চেয়েও গাঢ়। সে হঠাৎই অনুভব করে মালিকের উপস্থিতি। এক নিমেষেই ডানা ঝাপটে সে উড়ে আসে। না ওড়ার মতো, বরং যেন ঝাঁপিয়ে পড়ে! তার ডানায় বাতাস কাঁপে, রুমে এক ভয়াবহ গর্জন ওঠে। তেইহিয়ং এর সামনে এসে থেমে যায়। বাজপাখির চোখের সে দৃষ্টিতে যেন কেবল একটাই কথা। –'তুমি কোথায় ছিলে এতদিন? তার গলা থেকে একটা কর্কশ কিন্তু অধীর ডাক বের হয়, যেন অভিমানে মিশ্রিত উল্লাস। গ্রিম রিপার তেইহিয়ং এর দিকে মাথা নিচু করে, ডানার এক প্রান্ত তেইহিয়ং এর পায়ের কাছে রেখে বসে পড়ে। এটা তার ভালোবাসা আর আনুগত্যের এক অন্ধকার ভাষা। তেইহিয়ং ধীরে ধীরে তার কাছে যায়, চোখে কোনো ভয় নেই, বরং এক অভ্যস্ত ঠাণ্ডা শাসন। তেইহিয়ং এর হাতে গ্রিম রিপারের প্রিয় খাবার—কাঁচা মাংস, তাজা।বাজ সেটা ছুঁয়েও না দেখে চেয়ে থাকে তেইহিয়ং এর চোখে। যেন বলছে, –'খাবার পরে হবে, আগে আমাকে ছুঁয়ে দাও মালিক, কতদিন তোমায় ছোঁয়া পাইনি! গ্রিম রিপার বাজপাখি সে বন্দী নয়, সে হলো তেইহিয়ং এর পাহারাদার, সে অস্ত্র।শুধু একমাত্র তেইহিয়ং এর হাতে ধরা দেয় সে, এক ভয়ংকর ছায়া। বাজপাখির হৃদয় কেবল একজনের জন্য কাঁপে, আর সে হলো তেইহিয়ং।তেইহিয়ং হালকা হেসে তার হাত বাড়িয়ে দিলো, বাজপাখিটা উড়ে তেইহিয়ং এর হাতে বসে পড়ে। তেইহিয়ং হালকা চুমু দেয় বাজপাখির ডানায়। এতে খুশি হয়ে গ্রিম রিপার ডানা ঝাপটাতে থাকে। অন্যদিকে, জাংকুক হাটঁছে। চারপাশে নিস্তব্ধতা, কেবল তার জুতার ঠকঠক শব্দ। জাংকুক থামে একটা ভারী দরজার সামনে। ভেতরে সেই ভয়ংকর প্রাণী “ডোবারম্যান বা'ম” দরজা খুলতেই, এক নিমিষে কক্ষটা কেঁপে ওঠে। বা'ম যেন বজ্রগর্জনের মতো গর্জন করে উঠে, পরের সেকেন্ডেই তার দৌড়।এক পাগলামী ভালোবাসার দৌড়। বা'মের চোখ দুটো জ্বলজ্বলে, থাবা গর্জন তুলতে প্রস্তুত। কিন্তু জাংকুক কে দেখা মাত্র তার গলা থেকে বের হয় এক ভিন্ন রকমের শব্দ, যেন গর্জন নয়, কাতর চিৎকার। সে জাংকুকের পায়ে মুখ ঘষে, দুই পা তুলে বুকের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে, কিন্তু তবুও সে আঘাত করে না। তার সেই অদম্য শক্তি মুহূর্তেই কোমলতায় গলে যায়, যেন বলছে —'তুমি ফিরেছো... অনেক দেরি করেছো।” জাংকুক শান্ত গলায় বলে, –'শান্ত হো, বা'ম। আমি তোকে ভুলিনি বা'ম এবার বসে পড়ে, কিন্তু চোখে সেই উত্তাল আগুন। তার লেজটা নাড়ছে না।তাতে আনন্দ নেই, আছে পাগলামী।জাংকুক বা'মের মাথায় হাত রাখে,শক্ত করেই চেপে ধরে। –'বললাম তো শান্ত হতে নাকি? আমি আছি তো। সময় মতো খাবার পাও তুমি? কুকরটা লেজ নাড়িয়ে সম্মতি জানায় যে হ্যাঁ সে খাবার পায় নিয়মিত। জাংকুক আবার বলে, –'আমি দুই-একদিনের মধ্যেই বাংলাদেশে ফিরে যাবো। যদি তুই এমন পাগলামি না করিস তবে তোকে আমি বাংলাদেশে নিয়ে যাবো আমার সাথে কোনো এক সময়। রাজি? বা'ম জাংকুক কে তার দুই পা দিয়ে আঁকড়ে ধরে। চোখের কোণে একটু পানি। এতদিন পর জাংকুক কে দেখে খুশিতে চোখে পানি এসে পড়েছে আবার সে ফিরে যাবে ভেবে কষ্ট হচ্ছে। জাংকুক মৃদু হেসে বা'মের মাথায় চুমু দিয়ে বলে, –' শীঘ্রই তোর জন্য নতুন মালকিন আনবো আমি। তুই তার সাথে খেলা করবি যখন আমি বাহিরে থাকো কিংবা কাজে বিজি থাকবো। 🍁~~~🍁 Yn অফিসে বসে বসে ভাবছে, –'কিছুদির ধরে বখাটে মির্জাদের দেখা যাচ্ছে না কেনো? এলাকায় কোনো গোলমালও হচ্ছে না। ব্যাপার কি? বখাটে মির্জা দুইটা কি ভালো হয়ে গেলো? আচ্ছা একবার খুঁজ নিলে কেমন হয়? ৮০০+ কপি লিংক করে দিও। কতদিন পর Yn কে দিলাম পার্টে🙂🤌🏼 #jungkook #taehyung #fyp #jungkook #taehyung #fyp

️🌷•كوك تاي •🌷

Open In TikTok:

Region: BD

Saturday 19 July 2025 12:17:41 GMT