@tae_megh: "Cousin_Love"~S3 Part 4 Taehyung সরাসরি Yn-এর দৃষ্টিতে দৃষ্টি মেলালো। চোখে চোখ রাখল। Yn-এর কিশোরী হৃদয়ে ঝংকার তুলল সেই মোহনীয় দৃষ্টি। এর আগে কখনো সেভাবে লক্ষ্য করা হয়নি। সেভাবে দৃষ্টি দেওয়া হয়নি Taehyung ভাই-এর দিকে। আজ খেয়াল করল Yn। লোকটার চোখের মণি বাদামি রঙের। সুঠাম দেহের অধিকারী। উচ্চতা বেশ অনেকটাই। সেই তুলনায় Yn Taehyung-এর সামনে চুনোপুঁটি। গায়ের রং ফর্সা। মানতেই হবে, Taehyung ভাই নিঃসন্দেহে সুদর্শন পুরুষ। Tae – ডেব ডেব করে তাকিয়ে আছিস কেন? Yn-এর হুশ ফিরল। সঙ্গে সঙ্গেই চোখ সরিয়ে নিল। এই চোখে তাকানো নিষেধ। খুব খুবই নিষেধ। এই চোখে তাকালে ঘোর লেগে যাবে। আটকে পড়তে হবে সারাজীবনের জন্য, এই সুদর্শন পুরুষের মাঝে। Yn – কিছু না। তোমার সাথে কথা বলাঈ বেকার। ধুর, আমি গেলাম। Taehyung তার কথায় পাত্তা না দিয়ে ছাদের কর্নারের বেতের সোফায় বসে কাজ শুরু করল। অফিসে যাওয়া হবে না কাল। তাই আগেভাগেই সব কিছু গুছিয়ে রাখছে। এর মধ্যে পরপর বেশ কয়েকবার ফোনটা বেজে উঠল। Taehyung কিছুটা বিরক্ত হলো। ফোন হাতে নিয়ে দেখল, চিত্রা কল করছে। রিসিভ করল সময় নিয়ে। ওদিকে, Yn আর দাঁড়াল না। বই হাতে নিজের ঘরে চলে গেল। পড়তে তো হবেই, যতোই হোক Taehyung-কে চ্যালেঞ্জ করেছে যে সে ব্যবসায় জয়েন করেই ছাড়বে। Tae – হ্যালো? ওপাশ থেকে চিত্রা-র উৎসাহিত কণ্ঠস্বর ভেসে এলো – চিত্রা – Taehyung? কাল আসছিস তো ভার্সিটিতে? একটা টেস্ট আছে। Tae – হ্যাঁ যাব। চিত্রা – তাহলে টেস্ট শেষে আমরা তিনজন ঘুরতে যাব, কেমন? Tae – সময় হবে না আমার। ভার্সিটি শেষ করে অফিসে যাব। চিত্রা-র মন খারাপ হলো বেশ। Taehyung-এর সাথে সে যতটা উৎসাহ নিয়ে কথা বলছে, Taehyung-এর মধ্যে তার ছিটেফোঁটাও নেই। Taehyung বুঝল কি চিত্রা-র মন খারাপের কারণ? ধরতে পারল কি, চিত্রা-র অভিমান? না, পাষাণ Taehyung রাশভারি কণ্ঠে বলল; Tae – আর কিছু বলবি? কাজ আছে আমার। রাখছি তাহলে। কল কাটতেই চিত্রা তাচ্ছিল্য হাসল। সে আসলেই বোকা। কীভাবে যে আশা করেছিল Taehyung রাজি হবে, কে জানে। ফোন স্ক্রিনের দিকে ভারাক্রান্ত হৃদয় নিয়ে তাকিয়ে রইল সে। সাহা পরিবারের একমাত্র আদরের মেয়ে চিত্রা। আপন বলতে তার শুধু বাবাই আছে। বাবা কখনো কোনো কিছুর অভাব রাখেনি তার। সবই আছে তার, শুধু মায়ের ভালোবাসা বাদে। কলেজ লাইফ থেকে Jungkook আর Taehyung-এর সাথে তার বন্ধুত্ব। ধর্ম হিন্দু বলে তেমন কেউ সেভাবে তার সাথে মিশতে চাইত না। পরবর্তীতে Taehyung আর Jungkook-ই তার সব থেকে কাছের বন্ধু হয়ে উঠেছে। Jimin আর Yn3 প্রায়ই একসাথে বসে পড়ে। আজকেও ঠিক তাই হয়েছে। Jimin যেহেতু সিনিয়র, তাই Yn3-এর অনেক বিষয়ে সে সাহায্য করতে পারে। Jimin পড়া বোঝাচ্ছে ঠিকই, তবে Yn3-এর তাতে মন নেই। সে পেন্সিল দিয়ে কি যেন এঁকে যাচ্ছে। Jimin তা দেখে মাথায় বাড়ি বসালো। Yn3 – সমস্যা কী তোর? Jimin – তোর সমস্যা কী? কী আঁকছিস এত? Yn3, এসব কিন্তু ঠিক না। তোর পড়ায় মন নেই দেখছি। Yn3 – আজ পড়তে ইচ্ছে করছে না। বাদ দে, আমি আর পড়ব না। Jimin – সামনে টেস্ট আর তুই এখন এসব নাটক করছিস? কী শুরু করেছিস তুই? সারাদিন কী সব আঁকাআঁকি নিয়ে পড়ে থাকিস? Yn3 – কী সব মানে, কী রে? মারব না এক চড়! আমার আঁকতে ভালো লাগে, তাই আমি আঁকি। ভবিষ্যতেও আঁকব। Jimin – যেটার কোনো ভবিষ্যৎ নেই, সেটা করে লাভটা কী? Yn3 – কে বলেছে ভবিষ্যৎ নেই? অবশ্যই আছে। Jimin – ফালতু স্বপ্ন দেখা বন্ধ কর। এসবের কোনো মানে হয় না Yn3। Yn3 – তোকে এসব নিয়ে মাথা ঘামাতে হবে না। ভবিষ্যৎ আছে কি নেই সেটা আমাকেই বুঝতে দে। Yn3 আর দাঁড়াল না সেখানে। নিজের ঘরে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দিল। এই বাড়ির কেউ তার বিষয়টাকে সিরিয়াসলি নিচ্ছে না। কেউ বাধা দেয় না আবার উৎসাহও দেয় না। ধীরে ধীরে ধরনী আরো অন্ধকারে ছেয়ে গেছে। আজকের আকাশটা বোধহয় একটু বেশিই সুন্দর। এতটাই স্বচ্ছ যে আজ বোধহয় সব তারা একে একে গুনে ফেলা যাবে। বারান্দায় দাঁড়িয়ে এসবই দেখছিল Yn। তবে, Yn-এর ঘরে একদম ভালো লাগছিল না। ভাবল একবার বড়ো আম্মুর ঘর থেকে ঘুরে আসবে। করলও তাই। ছুটে নিচতলার ঘরে গেল। বড়ো আম্মুর শিয়রে বসে মাথায় হাত রাখল। Yn – কবে সুস্থ হবে তুমি? জানো কত মিস করি তোমাকে? তোমার হাতের রান্না কতদিন খাইনি। তুমি কতদিন যত্ন নিয়ে মাথায় তেল দিয়ে দাওনি। আমাকে Yn মামনি বলে ডাকোনি আজ অনেক দিন হলো। Yn-এর চোখের কোণে জল জমল। বড়ো আম্মুর নিষ্প্রাণ, অচেতন অবয়ব তাকে ভীষণ পোড়ায়। দেখতে ইচ্ছে করে না এই মানুষটাকে এভাবে। একসময় এই মানুষটাই তো একা হাতে বাড়ির সকলের ইচ্ছে পূরণ করায় ব্যস্ত থাকত। দরজায় দাঁড়িয়ে এসবই দেখছিল Taehyung। রোজ এই সময়টাই Taehyung মায়ের ঘরে আসে। Comment Koro na anekei🙂 #jungkook #foryou #tiktokbdofficial🇧🇩 #taehyung #foryouuuuuuuuuuuuu @TikTok

Tae's Wifey

Open In TikTok:

Region: BD

Monday 18 August 2025 17:45:11 GMT