@bookflip24: সেদিন ছিল ভরা পূর্ণিমা। পূর্ণ চন্দ্র দেখা দিয়েছে গগনে, এই চাঁদ যেন পরী শায়েরের ভালোবাসার স্বাক্ষীস্বরূপ হয়ে এসেছে। জানালার কিঞ্চিৎ ফাঁক গলিয়ে চুঁইয়ে চুঁইয়ে ঢুকছে চাঁদের আলো। হারিকেনের আলো আজ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ হলো যেন। এই জোৎস্নায় শায়ের উপভোগ করল পরীর সৌন্দর্য। কিছুক্ষণ আগ পর্যন্ত দুজনে বাড়ির ছোট্ট উঠোনে বসে ছিল। খোলা আকাশ, মৃদুমন্দ হাওয়া আর একটুখানি ভালোবাসা। এভাবেই যেন চলে যাক আজীবন। পরী আরেকটু পাশে ঘেঁষে আসলো শায়েরের। অথচ আর এতটুকুও জায়গায় ফাঁক নেই দুজনের মধ্যিখানে। সুচ ফেললে তাও আটকে যাবে। পরীর এমন কাজে হাসল শায়ের যা ওর সহধর্মিণী দেখতে পেল না। মুখটা পরীর কানের কাছে এনে ফিসফিস করে বলল, 'যদি আপনাকে আমার শরীরের ভেতর লুকিয়ে রাখার সাধ্য হতো তা হলে তা-ই করতাম।' ভারি সুখ সুখ অনুভব করল পরী। ও তো এটাই চায়। নিজের স্বামীর ভাগ কজন মেয়ে দেয়? এই যে এত সুন্দর মুহূর্ত সে শায়েরের সাথে কাটাচ্ছে ভাবতেই গাঁ শিউরে উঠছে পরীর। তার স্থানে অন্য কোনো নারীর কথা চিন্তাও করে না। শায়ের আরেকটু ঘনিষ্ঠ হয়ে এলো পরীর কাছে। ঠিক সে মুহূর্তে দরজায় টোকা পড়ল। বেশ জোরে জোরেই কেউ কড়াঘাত করছে দরজায়। শায়ের বিরক্ত হলো বেশ, সুন্দর সময়টা এত দ্রুত নষ্ট করে দিল! শায়ের বিরক্ত হয়েই জিজ্ঞেস করল, 'কে?' বই: পরীজান লেখক: ঈশিতা রহমান সানজিদা #bookflip #fypシ゚viralシ #highlights #offer