ꨄVivahꨄ Part:114 রাত নটায় ওদের লঞ্চ। Yn সকাল দশটার দিকেই সবকিছু গোছাতে বসলো। জামাকাপড় থেকে শুরু করে গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র,সবকিছু। খুব সাবধানে রাখতে হবে সব গুছিয়ে, যদি কিছু একটা ভুল করে রেখে যায়,তবে বিপদ। ওর কাজ কম্মে ভীষণ তাড়াহুড়ো ভাব লক্ষ্য করছে jk, বিছানার হেডসাইডে হেলান দিয়ে বসে আছে সে । ভর সকালে জানালা থেকে আসা কড়া মিঠা রোদের উষ্ণতা নিতে নিতে হঠাৎ yn কে বলে উঠলো,“তাড়াহুড়োতে আবার কিছু ফেলে রেখে যেয়ো না।” Yn চটপটে জবাব দেয়,“আমার মনে আছে। সব নিয়েছি।” Jk জানে yn কাজে কর্মে চালু মেয়ে, এসব বলার প্রয়োজন নেই, তবুও বললো। আসলে ইদানিং মেয়েটাকে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে কথা বলতে তার ভালো লাগছে। নয়তো মেয়েটা এক শব্দ প্রয়োজনের বাইরে খরচ করে না। একটা ‘বোবা বৌ’ jk অবশ্য চেয়েছিলো। যে বাড়তি, অহেতুক কথা বলবে না। তবে যে jk কে একাকিত্বে ভোগাবে,এমন বৌ সে চায়নি। Jk সংসার করতে চেয়েছিল, নিড়িবিলি একটা সংসার। বোবার সংসার তো নয়। ছুটে ছুটে yn যখন সব গুছিয়ে নিচ্ছিল তখন jkর ফোনে হঠাৎ একটা কল আসে। রিসিভ করে দশ সেকেন্ড কথা বলেই jk বললো,“একটা পার্সেল এসেছে নিচে। একটা মেয়ে এনেছে। একটু রিসিভ করে আনো তো দরজা থেকে।” ইয়া বড় একটা বক্স।yn সই করে দু'হাতে আগলে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। রিজিয়া বণিক রান্নাঘর থেকে জানতে চাইলেন,“ওতে কি yn?” Yn_জানি না আম্মা, আপনার ছেলে অর্ডার করলো। Jk/m_ও আচ্ছা,যাও ওকে দাও। আর শোনো,jungkookর সবকিছু গুছিয়ে নাও। আমি একবার চেক করে দেখবো যাওয়ার আগে। ঘাড় কাত করে yn দোতলায় উঠলো, বক্সটা এনে jkর কাছে রাখতেই jk খুব একটা ভ্রুক্ষেপ না করে নিজের মনযোগী দৃষ্টি ফোনের স্ক্রিনে নিবদ্ধ রেখে বললো,“খোলো ওটা।” Yn খুললো বক্সটা। এক এক করে বের করে আনলো দু'টো ঘরে পরার সুতি শাড়ি, স্যানিটারি ন্যাপকিনের প্যাকেট, মেন্সট্রুয়াল কাপ, ynর শ্যাম্পু, সুগন্ধি এবং কিছু চকলেট। গলির মাথায় যে বড় সুপার মার্কেট আছে, সেখান থেকে অর্ডার করে নিয়েছে jk। ওসব ধরে রেখেই আয়ত চোখজোড়া ynর jkর গম্ভীর মুখটা দেখে। Jk ফোনের নোটপ্যাডে অফিসের কিছু ডেডলাইন লিখতে লিখতে বিরক্ত ভঙ্গিতে বলে,“কি শাড়ি পরে থাকো বাড়িতে হ‌্যা? চোখে দেখো না? ভিখারিকেও দেওয়া যায়না এমন হয়েছে রং উঠে গিয়ে। আজ ধুয়ে মাকে দিয়ে দেবে ও দু'টো। কাঁথা সেলাই করার মতোও যোগ্য না গাঁয়ের শাড়িটা।” Yn দৃষ্টি জোড়া নত করে চুপচাপ ঢোক গিললো, Jk খিটখিট করেই চলেছে,“শ্যাম্পু নেই এটা আমার বোতল ঝাঁকিয়ে দেখতে হয় কেন? আমার কি আর কোনো কাজ নেই? সারাদিন ঘরে কোথায় কি নেই সেসব খুচবো মহিলা মানুষের মতো? আশ্চর্য মেয়ে তুমি!” Yn তখনও নিশ্চুপ হয়ে থাকে, Jk কথা থামিয়ে আড়চোখে ওকে একপলক দেখে গলা খাঁকারি দিয়ে বলে,“এ মাসের স্যানিটারিজ গুলো গুছিয়ে নিও। ডেট তো কাল পরশু। ওখানে গেলে এসব কে কিনে দেবে? আমি পারবো না, শায়নকে তো বলতে পারবে না, নিজেও কিনতে পারবে না। তাই আগেভাগেই আনিয়ে দিলাম, ব্যাগে ভরো। সবকিছু ব্যাগে ভরো যাতে ঝামেলায় না পরতে হয়।” Yn চুপচাপ তাই করলো, তবে হাতের জিনিসপত্র ব্যাগে ভরে লোকটার দিকে একটিবার তাকালোও না, চোখ সে তুললোই না। ব্যগ্র কন্ঠে “আসছি” বলে একপ্রকার লাফিয়ে লাফিয়ে ছুটে বেরিয়ে যায় ঘর থেকে। Jk আবারো নিজের কাজে মনযোগী হয়, খিটখিট করেই বলে,“লাফ দেওয়ার স্বাধীনতা পেয়েছে তাই কথায় কথায় লাফ দেয়। আশ্চর্য মেয়ে মানুষ।” Yn এক ছুটে নেমে এলো নিচে, ভেতরে ভেতরে হাপাচ্ছে মেয়েটা। মাইমুনা ওকে বললেন,“এমন করতাছো ক্যা? মোর নাতি চাইপ্যা ধরছেলে তোরে?” Yn জবাব না দিয়ে ঢকঢক করে একগ্লাস পানি খায়। মাইমুনার কৌতুহলী, চকচকে দৃষ্টি, জানতে চাইলো,“বাক্সে কি আছিলো? খাওন দাওন?” Yn বুঝিয়ে বলার পরে মাইমুনা ছেঁচে রাখা পানটা মুঠি থেকে মুখে পুরে চিবুতে চিবুতে আয়েশী ভঙ্গিতে বললেন,“তুই যত যাই কও,আমার নাতীডা ভালোই। কত ব্যাডা মানুষ আছে বৌয়ের সাবান আচে কি নাই চাইয়াও দ্যাহে না, কিন্তু রাইতে ধারে আইয়া কাপড় খো// র সময় কয় তোমার শাড়ির আঁচলে গোনে রোসনের ঘেরান আয় ক্যা? ধূর পরিষ্কার থাকতে পারো না? পরতি যদি অমন ভা// তা// রের আতালে তয় বুজতি মাগী। এখন তো শুকরিয়া নাই।” Yn দাদী শাশুড়ির কথার জবাব না দিয়ে রান্নাঘরে ঢুকে Jkর জন্য ফল কেটে নেয়। থালা ভর্তি ফল কেটে দোতলায় উঠে দেখলো jk বারান্দায় একটা চেয়ারে বসে রোদে মুখের সামনেই আয়না ধরে কিছু একটা করছিলো। Yn থালা রেখে এগিয়ে গিয়ে দেখলো ছোটো সিজার দিয়ে কানের কাছে কিছু চুল ছাটকাট করছে। এই কমাসে খুব বেশি সেলনে যায়নি jk পায়ের জন্য। হেয়ারস্টাইল নিজে নিজেই করেছে। লোকটার অসুবিধা হচ্ছে দেখে yn বললো,“আমি করে দেবো? এখান থেকে জিরো করতে হবে তো?” Jk ওর কথায় ভরসা পেয়ে তবেই কাচিটা দিলো, কাঁচি হাতে নিয়ে yn বলে উঠলো, রাইটারঃইসরাত ইতি #fyp #foryou #foryoupage #viral #tjvkoko - @taerrani